বাংলা ভাষা শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর মানুষ ব্যবহার করেন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বাংলা বলেন, কিন্তু তারা ভারতীয় নাগরিক। একইভাবে, বাংলাদেশে এবং ভারতে ও অনেক আদিবাসী বা বিদেশি নাগরিক থাকতে পারেন যারা বাংলা শিখে কথা বলেন, কিন্তু তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাংলাদেশি নন।
পশ্চিমবঙ্গের অন্তত চারজন বাসিন্দাকে বাংলাদেশি বলে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করে দেওয়ার হয়েছে, এ ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও মুখ খুলেছেন। মমতা ব্যানার্জী বিধানসভায় তিনি বলেন, “বাংলা ভাষায় কথা বললে বাংলাদেশি বলা হচ্ছে। বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” বিজেপিরই সরকার রয়েছে মহারাষ্ট্রে। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “লজ্জা করে না আপনাদের! আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং অন্য পরিচয়পত্র থাকার পরেও শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকার এই কাজ করেছে। আমি তাদের ধিক্কার জানাই।”
ভারতের পহেলগামের হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র ও আসামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অবৈধ বাংলাদেশিদের আটক করে পুশ-ব্যাক করা শুরু হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলি প্রশ্ন তুলেছে ভারতে যেসব বাংলাদেশের নাগরিক বৈধ নথি ছাড়াই বসবাস করছিলেন, এমন ব্যক্তিদের আটক করতে গিয়ে ভারতীয় বাংলা ভাষী অনেককে আটক করে পুশ ব্যাক করে দেওয়া হচ্ছে।