ইউসুফ শেখ।
জুলাই আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের গুলিতে পাঁচ সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা।জুলাই আন্দোলনের সময় নিহতের পাশাপাশি অন্তত কয়েক ডজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।গত বছরের জুলাই-আগস্টের ঘটনাবলীর সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন মামলায় কমপক্ষে ২৬৬ জন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে।ঢাকায় সবচেয়ে বেশি মামলা দায়ের হয়েছে, যার সংখ্যা ৮৮টি। সিলেট ও চট্টগ্রাম যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে; যেখানে ৩৯ জন ও ৩৬ জন সাংবাদিককে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। অন্যদিকে-সাভার, নারায়ণগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বগুড়ায় ১০ থেকে ২০ জন সাংবাদিককে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে গত জুলাইয়ের মধ্যে দেশে ৪৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন। টিআইবি বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়নি।
২০২৪ আগস্ট‐মার্চ ২০২৫ সময়কালে ৪০০ সাংবাদিকদের উপর হামলা বা হয়রানির ঘটনা খুঁজে পাওয়া গেছে। বিশেষ করে বিক্ষোভ বা সামাজিক ঘটনা কভার করার সময় পুলিশ, রাজনৈতিক কর্মী, ও বিভিন্ন বাহিনী সাংবাদিকদের পিটিয়েছে, ধস্তাধস্তি করেছে ও ক্যামেরা ভাঙার মতো ঘটনা ঘটছে।
৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১৮ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি)।এর আগে গত ২৯ অক্টোবর ২০ জন এবং নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ২৯ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছিল তথ্য অধিদপ্তর।সাংবাদিকদের সরকারী অফিসে প্রবেশাধিকার ও মন্ত্রকের তথ্য পাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে “ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন” ও অনুরূপ আইন প্রয়োগ করে “মিথ্যা সংবাদ”, “রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করা” ইত্যাদির অভিযোগ রয়েছে। সাংবাদিকরা স্বাধীন রিপোর্টিং করতে ভয় পান। আইনগত ও প্রশাসনিক জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন। রাজনীতি, ক্ষমতার দখলকারীদের চাপ, মিডিয়া মালিকানার কেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকদের স্বাধীনতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।