ভারতে বাংলা ভাষায় কথা বললে বাঙালিদের হেনস্থা করা হচ্ছে।মনে করা হচ্ছে বাঙালি মানেই বাংলাদেশী। শুধু বাংলাদেশের মানুষই বাংলায় কথা বলে না, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরাসহ অন্যান্য অঞ্চলের মানুষও বাংলায় কথা বলে। বাংলা ভাষা উনেস্কো কতৃক স্বীকৃত। ভারতের জাতীয় সংগীত বাংলায় রচিত। রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষায় ভারতের জাতীয় সংগীত রচনা করেছিলেন।বাঙালির রক্তে ও জীবনের বিনিময়ে ভারত স্বাধীন হয়েছিল।সেই ভারতেই বাঙালির বাংলা ভাষা উপেক্ষিত ও অপমানিত। বাঙালির বাংলা ভাষা সংকটে।সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসুর বাংলা ভাষা নিয়ে শুরু হয়েছে ভারত জুড়ে বিতর্ক।
হিন্দু বাঙালির চেয়ে মুসলিম বাঙালিরা বেশি হেনস্থার শিকার হচ্ছে।বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিরা হেনস্থার শিকার বেশি হচ্ছে, অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে। বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে জাতিগত ঘৃণা।বাঙালিদের ধরার জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে বাঙালি মানেই বাংলাদেশী বলে তকমা দেওয়া হচ্ছে। হিন্দি ভাষার আগ্রাসন বেড়েছে ভারতে।এ জন্য ছোট ছোট জাতি গুষ্ঠির ভাষা সংকটে আছে।বাঙালিদের বহিরাগত বা বিদেশী বলা হচ্ছে। ১৯৪৭ সাল থেকে ভারত হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে চলে গেছে।এক সময় যে বাঙালি ভারতকে পথ দেখিয়েছে, সেই বাঙালি, বাঙালির বাংলা ভাষা ভারতে উপেক্ষিত। বিজেপি আই টি সেলের মাথা অমিত মালভিয়া বলেছে, বাংলা বলে কোনো ভাষা নেই।