স্টাফ রিপোর্টার।
গাজী কামাল হোসেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামের একজন কৃষক। তাঁর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া নেই। তবে সে উপলব্ধি করতে পারে, বজ্রপাতরোধ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তালগাছ অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সেই উপলব্ধি থেকে তিনি বিভিন্ন স্থানে তালের বীজ ও চারা রোপণ করে।
আলীপুর বাজার থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত বেড়িবাঁধের দুই পাশে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার তালের বীজ তিনি লাগিয়েছেন। দৈনিক চার–পাঁচজন শ্রমিককে পারিশ্রমিক দিয়ে এসব তালগাছ লাগান। একটি বীজ বপন কিংবা একটি চারা রোপণ করতে গড়ে ৭ টাকা খরচ হয়। আর্থিকভাবে সচ্ছল না হলেও এই খরচ তিনি একাই বহন করছেন।
তাঁর মায়ের ইচ্ছানুযায়ী সে আরও ব্যাপকভাবে তালের আঁটি রোপণ করতে চান। বৃহত্তর জনস্বার্থে তিনি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত অথবা ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে তালের বীজ রোপণ করতে চান। এ ক্ষেত্রে সে সরকারের অর্থায়ন চান না। চান সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি ও প্রশাসনিক ছাড়পত্র। আরও চান সবার পক্ষ থেকে সহযোগিতা।
সরকারি কোনো মহল যদি অন্য কোথাও এই তালগাছ লাগানো সমীচীন হবে বলে মনে করে, তাহলেও সেখানেও এই তালগাছ রোপণ চালিয়ে যেতে চান।