পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের আপ্যায়ন। মুনিরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারার পর যেভাবে ট্রাম্প নিজেকে ‘সম্মানিত বোধ’ করেছেন বলে জানিয়েছেন, তা অবশ্যই মোদি সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার বিজ্ঞাপন। ট্রাম্প স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, ‘আন্তসীমান্ত সন্ত্রাস’ নিয়ে ভারতের নিরন্তর প্রচার তাঁর কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। গ্রহণযোগ্যও নয়। পাকিস্তান ব্রাত্য তো নয়ই।
ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, চার দিনের মাথায় ভারত–পাকিস্তান সংঘাত তিনিই বন্ধ করেছেন। বারবার বলে চলেছেন, দুই দেশকেই তিনি সংঘাত থামাতে বলেছিলেন। দুই দেশকেই বাণিজ্য চুক্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন। এত দিন ধরে ভারত সরকারের পক্ষে কেউ বলেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘অসত্য’ বলছেন। নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, ভারতীয় বাহিনীর আক্রমণ থেকে বাঁচতে পাকিস্তানই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই দাবির কথা এবার অন্যভাবে উপস্থাপিত হলো মোদি–ট্রাম্প ফোনে আলোচনার পর।
ট্রাম্পের দাবি ও আচরণ ভারতের রাজনীতিতে সরকারবিরোধীদের হাতে তুলে দিয়েছে এক মোক্ষম অস্ত্র। সেই সুযোগ বিরোধীরা হাতছাড়া করেনি। মোদি সরকারকে সরাসরি দাঁড় করিয়েছে কাঠগড়ায়। সরব হয়েছে কূটনৈতিক ব্যর্থতা নিয়ে।জেনারেল মুনিরকে তোয়াজ করার পেছনে ট্রাম্পের মননে নিশ্চিতই ইসরায়েল–ইরান যুদ্ধ কাজ করছে। এই যুদ্ধে সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জড়াতে চাইলে পাকিস্তানকে তাদের প্রয়োজন। সেখানে ঘাঁটি গাড়ার দরকার পড়তে পারে। তবু প্রশ্ন উঠছে, ভারত–পাকিস্তান সংঘাত থামানোর কৃতিত্ব প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেন বারবার দাবি করছেন? দাবি সত্য হলে কেনই–বা তা মেনে নিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির এত অনীহা?