কবি শাহ শামীম আহমেদের কবিতা।

  • আপডেটের সময়: শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৩৭ সময় দেখুন
ছবি: কবি শাহ শামীম আহমেদ।

স্টাফ রিপোর্টার।

এই সময়ের তরুণ কবিদের মধ্যে শাহ শামীম আহমেদ খ্যাতিমান। আশির দশকের শেষের দিকে লেখালেখি শুরু হলেও নব্বইয়ের দশকে এসে পাঠকের সাথে তাঁর পরিচয় গড়ে ওঠে। এক সময় সিলেটের সাহিত্যবিষয়ক আড্ডাগুলোর এক উজ্জ্বল মুখ এই তরুণ কবি লিখে চলেছেন লিটল ম্যাগাজিনসহ দেশ-বিদেশ থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিকের পাতায়।

কবিতায় শাহ শামীম কখনো না-পাওয়ার বেদনায় চঞ্চল-অবুঝ প্রেমিক; আবার কখনো-বা সমাজ ভাবনায় সচেতন ও বিবেকবান। প্রায় তিন দশক ধরে লিখে গেলেও ’জলরঙা দিন’ ই তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই। গ্রন্থভুক্ত সব কবিতাই বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন, দৈনিক ও সাপ্তাহিকে ইতোপূর্বে প্রকাশিত। ’হৃদি’ নামক প্রতিনিধিত্বশীল একটি নিরীক্ষাধর্মী লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদকও তিনি।

কবিতা চর্চার পাশাপাশি শাহ শামীম আহমেদ প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে জড়িত। নব্বইয়ের দশকের মধ্যভাগে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে কিছুদিন কারাবরণও করেন। লেখাজোকা ছাড়াও ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে তিনি স্বাতন্ত্র্যে উজ্জ্বল হয়ে উঠছেন ক্রমশ।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত এই তরুণ কবি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর, সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলাধীন ধর্মদা গ্রামের পীরবাড়ি।

তৃষ্ণাগুলো করেছি সষ্ণয়

কবি: শাহ শামীম আহমেদ

কয়লা খনির ভেতর অন্ধকারে পড়ে আছে কালো আত্মা
কতকাল এ্ শ্রমিক মন ঘষে ঘষে জ্বালিয়েছি
অজ্ঞতার গহীন অন্ধকার তেকে আলোর টানেল ধরে করেছি হীরের সন্ধান

অথচ বাইরে জ্বলছে ঐ নক্ষত্রের ফুল
রোদের অক্ষওে সতীর্থ সময় লিখে নিজস্ব ঠিকানা

ঝিনুকের যন্ত্রনাটুকু কতবার পুষেছি যে বুকের গভীরে
সকল রহস্যথিম পড়ে আছে স্তুপিকৃত বোধের দুয়ারে
ভিখেরীর সমস্ত সঞ্চয়ের মতো এই অকিঞ্চিত সৃষ্টিটুকু
দু:খের মতো আমারই নিজস্ব
আনন্দের শুভ্রভ্রুণ স্বপ্ন-রেণু গড়েছি শিল্পের শহরে
পূর্ণগ্রাস তরল আনন্দ আর বৃষ্টিভেজা রমণীর গা
ঠোঁটে ঠোঁট রাখা চুম্বনের অমৃত স্বাদ যাÑ কিছু মাতাল কওে,যা কিছু অদেখা. . .
বোধের করতলগত এই তৃষ্ণাগুলো করেছি সষ্ণয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • শুক্রবার (সন্ধ্যা ৬:৩৮)